ফিলিস্তিন ভ্রমণ Writer: Raf Rafin
রক্তবর্ণা চক্ষু, রুক্ষ চেহারা দেখে মাদকপ্রেমী ভাববার করণ নেই,
নিঃসন্দেহে বোমার প্রেমে পরেছি!
রঙিলা পোশাক দেখে ভেবোনা মেতেছিলাম হোলির নেশায়,
ধ্বংসস্তুপ থেকে লাশ উঠিয়ে ফিরছিলাম এক সন্ধ্যায়,
মাথায় কাফন বাঁধা তাই ভেবোনা আমি উন্মাদ,
একাকিত্বে গণকবর খুঁজে জানাজা পরি!
নিশ্চয়ই পেট্রোডলারের বিনিময়ে কাউকে অনাথ করি না
বারুদ ভরা বাতাসে গন্ধ শুকে মুখ ফেরাই না
ধ্বংস করব মার্কিন নাগরিকের অর্থে অনাথের রক্ত চোষার বিন,
অনাথের একটি প্রশ্নে আটকে যাবে মধ্যপ্রাচ্যের সকল নেতারা কিয়ামতের দিন।
সেদিন বাজিয়ে Ak47 করেছিলাম নিত্য!
তালে তালে নেচে ছিল এক অনাথ ও এক ধর্ষিতা,
আহ! কি নিত্য
নিশ্চয়ই এসুখ তোমাদের তথাকথিত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি পেট্রোডলারের তুলায় অসীম
পৃথিবীর সুঠাম অট্টালিকার সফলতায় মেপোনা আমাকে,
আমিতো সেই প্রাণ যাকে পৃথিবীর সফলতা - ব্যর্থতা দিয়ে মাপা যায় না
হাইড্রোজেন বোমা নয়,পৃথিবীর সকল অট্টালিকা গুড়িয়ে দিয়ে বানাবো এক উল্কা পিন্ড,
ধর্ষীতার কান্না আর শহিদের রক্তে রাঙাবো তাকে,
সন্তান হারা মা আর বিধবার আর্তনাদের এক মুখরোচক স্বাদ যোগ করব তাতে!
ছাই করে দিবে পুড়িয়ে সব শিশু হত্যার অস্ত্র,
আমার উল্কা মেনে চলে না কোনো শক্তির নিত্যতার সূত্র !
সে এগোয় জমদূত আজরাইলের নির্দেশে,
তৈরীর আগে উল্কাপিণ্ড, গুলিতে খেয়েছি ইউরেনিয়াম দুধের সাথে
তাই সে চলেনা তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বেশে
আছড়ে পরবে সূর্যের কেন্দ্রাতীগ বল নিয়ে
ধ্বংস করবে সব অন্যায়-অবিচার, অমানুষ-ধর্ষক,
নিশ্চয়ই এর জন্য আমায় উপাধি দেবে না নরখাদক!
এক ধর্ষীতার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিশ্চয়ই বলবে না আমায় খুনি,
তোমার কল্পিত অনামিকার থেকেও মূল্যবান ওই ধর্ষীতার মুখের হাসি